শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৫ অপরাহ্ন

গুলিতে ঝাঁজরা সাবেক ছাত্রদল নেতা আমানতের লাশ মিললো মর্গে

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে
শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন ৫ আগস্ট বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জলকুড়ি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আমানত (৪০)। ৯ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সনাক্ত করা হয় তার লাশ। তাকে এমনভাবে গুলি করা হয়েছে যে পুরো মুখমন্ডল ক্ষত বিক্ষত হয়ে গিয়েছিলো। একারণেই তার স্ত্রী আরও একাধিকবার দেখেও স্বামীর লাশ চিনতে পারেনি। অমানতের খোঁজ পেতে ছাপানো হয় পোস্টার। অবশেষে ১৪ আগস্ট নিহতের খালা ঢাকা মেডিকেল মর্গে গিয়ে অমানতকে সনাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট ) রাত ৯ টায় চাষাড়া শহীদ মিনারেল নামাজে জানাজা শেষে মরহুমের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত আমানত নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দিন বিকেল ৪টায় বাসা থেকে বের হন আমানত। বের হওয়ার সময় স্ত্রী হাসিনা মমতাজকে বলেছিলেন রাতেই ফিরে আসবো। ফিরেছেন ৯ দিন পর কিন্তু ফিরেছেন লাশ হয়ে।
অমানতের লাশ মর্গে সনাক্ত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেন সর্বস্তরের মানুষ। রাজনৈতিক সামাজিক ও বন্ধু মহলে অত্যন্ত ভদ্র ও হাস্যজ্জল ছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা আমানত। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য অ্যাড. আবুল কালামের ছেলে ও নাসিকের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাওসার আশার ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। দুজনেই এক সময় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আবুল কাওসার আশা মার্চ টু ঢাকা আন্দোলনে গিয়ে বুলেটে ঝাঁজরা হয়ে অমানতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুকালে মোহাম্মদ আমানত স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। সে একটা বাইং হাউজে কাজ করতো।
আমানতের স্ত্রী হাসিনা মমতাজ বলেন, ৫ তারিখ বাসা থেকে বের হয়ে ও যখন আর ফিরেনি। তখন থেকেই আমরা অনেক খুঁজেছি ওকে। কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান পাইনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মর্গে গিয়েও খুঁজেছি। ওকে গুলি করা ছাড়াও এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে যে চেনাই যায়নি। দুই তিনবার আমরা মর্গে ওর লাশ দেখেও চিনতে পারিনি। তবে ওর খালা গিয়ে পরে লাশ শনাক্ত করেছে। কারণ বাবা মা মারা যাওয়ার পর আমানতকে ওর খালাই বড় করেছে। আমাদের দুই সন্তান। এখন আমরা কি করবো বলেন? কোথায় যাবো? সব তো শেষ হয়ে গেলো। আমাদের সন্তানেরাও এতিম হয়ে গেলো। কারা কিভাবে এটা করেছে তা তো আর জানিনা। পোস্টমার্টেমের পর জানা যাবে ওর মাথায় পুলিশের গুলি না অন্য গুলি।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102