নারায়ণগঞ্জের আলীরটেক ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের সপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে ১৪ অক্টোবর। এদিন চালু হবে ডিক্রির চর ঘাটে ফেরী সার্ভিস। বহুল প্রতিক্ষিত এই দিনটেকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত ধলেশ্বরী নদীর দুই পাড়ের মানুষ।
জানা গেছে, ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর কারণে সদর উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন ৩০ হাজার মানুষের ইউনিয়ন আলীরটেক। শহরের মাত্র ২ কিলোমিটার দূরত্বে এই ইউনিয়নকে দুভাগ করেছে নদী দুটি। তাই এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল ডিক্রিরচর খেয়াঘাটে ফেরি সার্ভিস। নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের প্রচেষ্টায় আগামী ১৪ অক্টোবর শনিবার আলীরটেক ইউনিয়নের ডিক্রির চর ঘাটে ফেরি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা সড়ক ও জনপথ অফিস (সওজ)। ফেরী সার্ভিস উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে শহর থেকে শুরু করে গোটা ইউনিয়নকে ব্যানার-ফেষ্টুন দিয়ে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রীতিমতো উৎসবের প্রস্তুতি চলছে ফেরী উদ্বোধনকে ঘিরে। এ উপলক্ষে শনিবার উদ্বোধন পর্বের পাশাপাশি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। সমাবেশকে ঘিরে ১৫ হাজার টি শার্ট এবং উল্লেখিত সংখ্যক লোকের ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকার থেকে অনুমতি নিয়ে এই ফেরি সার্ভিসটি চালু করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরী উদ্বোধন করা হবে। ডিক্রিরচরে ফেরি সার্ভিস চালু হলে আলীরটেকের মানুষ যেমন সহজেই নারায়ণগঞ্জে আসতে পারবে, একই ভাবে শহরের মানুষ আলীরটেক ইউনিয়ন ব্যবহার করে পদ্মা সেতুতে যেতে পারবে।
আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু পেয়ে ভাঙ্গা, ফরিদপুরের মানুষ যেমন খুশি হয়েছে। ধলেশ্বরী নদীর ডিক্রিরচর খেয়াঘাটে ফেরী সার্ভিস চালু হওয়ায় একই রকম খুঁশি হচ্ছে আলীরটেক ইউনিয়নের মানুষজন।
নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ফেরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী কামরুল হাসান মুন্না বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই অঞ্চলের মানুষ গাড়িতে কখনো সরাসরি বাড়ি আসতে পারেনি। তাই দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল ফেরি সার্ভিসের। ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় আমরা প্রচুর খুঁশি। গ্রামে গ্রামে উৎসবের আমেজ তৈরী হয়েছে। আলীরটেকবাসী মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি সেলিম ওসমানের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা এই ফেরী সার্ভিসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।