বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট ) রাত ৯ টায় চাষাড়া শহীদ মিনারেল নামাজে জানাজা শেষে মরহুমের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত আমানত নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দিন বিকেল ৪টায় বাসা থেকে বের হন আমানত। বের হওয়ার সময় স্ত্রী হাসিনা মমতাজকে বলেছিলেন রাতেই ফিরে আসবো। ফিরেছেন ৯ দিন পর কিন্তু ফিরেছেন লাশ হয়ে।
অমানতের লাশ মর্গে সনাক্ত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেন সর্বস্তরের মানুষ। রাজনৈতিক সামাজিক ও বন্ধু মহলে অত্যন্ত ভদ্র ও হাস্যজ্জল ছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা আমানত। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য অ্যাড. আবুল কালামের ছেলে ও নাসিকের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাওসার আশার ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। দুজনেই এক সময় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আবুল কাওসার আশা মার্চ টু ঢাকা আন্দোলনে গিয়ে বুলেটে ঝাঁজরা হয়ে অমানতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুকালে মোহাম্মদ আমানত স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। সে একটা বাইং হাউজে কাজ করতো।
আমানতের স্ত্রী হাসিনা মমতাজ বলেন, ৫ তারিখ বাসা থেকে বের হয়ে ও যখন আর ফিরেনি। তখন থেকেই আমরা অনেক খুঁজেছি ওকে। কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান পাইনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মর্গে গিয়েও খুঁজেছি। ওকে গুলি করা ছাড়াও এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে যে চেনাই যায়নি। দুই তিনবার আমরা মর্গে ওর লাশ দেখেও চিনতে পারিনি। তবে ওর খালা গিয়ে পরে লাশ শনাক্ত করেছে। কারণ বাবা মা মারা যাওয়ার পর আমানতকে ওর খালাই বড় করেছে। আমাদের দুই সন্তান। এখন আমরা কি করবো বলেন? কোথায় যাবো? সব তো শেষ হয়ে গেলো। আমাদের সন্তানেরাও এতিম হয়ে গেলো। কারা কিভাবে এটা করেছে তা তো আর জানিনা। পোস্টমার্টেমের পর জানা যাবে ওর মাথায় পুলিশের গুলি না অন্য গুলি।