নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেনের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভপতি সালাউদ্দিন মোল্লা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ১৫ এপ্রিল তিনি দুইপৃষ্ঠার একটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পৌঁছে দেন। সালাউদ্দিন মোল্লা আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বড় ফাউসা এলাকার মৃত আব্দুর রইফ মাস্টারের ছেলে এবং বাংলাদেশ মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তারের ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস)।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ্য করেন, ৫ আগস্টের পর আড়াইহাজার থানায় এনায়েত হোসেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। সারাদেশে যখন ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলমানদে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সারাদেশে যে সময় এসএসসি পরীক্ষা চলমান। আড়াইহাজার থানার ওসি ১১ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধা থেকে রাতভর উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শালমদী গ্রামে অনুমোদন বিহীন একটি বাউল গানের আসর বসান। সেখানে তিনি গলায় লাল গামছা পেঁচিয়ে নাচে-গানে আনন্দ উল্লাসে মত্ত থাকেন। যেখানে তিনি এমন ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা। সেখানে তিনি নিজেই অংশ নিয়ে আনন্দফূর্তি করেছেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকাবাসী, ছাত্র সমাজ ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। তাদের তোপের মুখে সেখান থেকে সটকে পড়েন তিনি। উক্ত সময়ের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ্য করেন, বিতর্কিত ওসি এনায়েত হোসেন গ্রেফতার ও মামলার ভয় দেখিয়ে এলাকার সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতিদিন থানায় গভীর রাতে সাধারণ মানুষকে ধরে এনে লেনদেনের হাট বসান। তাকে মোটা অংকের টাকা দিলে ছেড়ে দেন। তা না দিলে মিথ্যা মামলায় তিনি নিহীর মানুষকে কোর্টে প্রেরণ করেন।
এনিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় “বির্তকিত আড়াইহাজার থানার ওসি” শিরোনামে ফলাওভাবে সংবাদ প্রকাশ হয়। তার কাছে মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিন চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটনা ঘটছে। ওসি আড়াইহাজারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন। ৫ আগস্টের পর তিনি থানায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে হয়রানি করাসহ ঘুষবাণিজ্য যেন তার কাছে ওপেন সিক্রেট। আমি সহ ভুক্তভোগীদের দাবী আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে এনায়েত হোসেনকে দ্রুত অপসারণ করা হোক।