বন্দরে মেরাজ (১৬) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা । সোমবার রাতে বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেরাজ বন্দরের ছালেহনগড় এলাকার এজাজ মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আল আমিন (২৭) নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিকে মেরাজ নিহত হওয়ার খবরে সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উত্তেজিতরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরসহ বন্দর সালেহনগর এলাকার কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মিয়ার ভাতিজা সোয়েব ও রবিনসহ এলাকার সন্ত্রাসী পিংকি, বাবু, মানিক, রানা ও নাদিমসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রুপালী আবাসিক এলাকার এজাজ মিয়ার ছেলে মেরাজ ও তার বন্ধু আলামিনের উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিতে হামলায় চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মেরাজ ও আলআমিনকে কুপিয়ে জখম করে হত্যা নিশ্চিত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মেরাজের মৃত্যু হয়।
মেরাজের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌছলে মেরাজের সমর্থকরা ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহীন মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরসহ সালেহনগর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে রুপালী আবাসিক এলাকাবাসী জানান, ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কাজলকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনার জের ধরে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সোয়েব বন্দর থানার সালেহনগর এলাকার খলিলুর রহমান ও রবিন একই এলাকার জলিলুর রহমানের ছেলে এবং কাউন্সিলর শাহীন মিয়ার ভাতিজা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত হওয়ার খবরের সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।