রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

জোরজবরদস্তি রেলের জায়গা দখল করে মাঠ করেছি : মেয়র আইভী

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘ এটা শেখ রাসেল পার্ক। আগামী মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করবেন। এখানে ১৮ একর রেলের জায়গা রয়েছে। বলা চলে, জোরজবরদস্তি দখল করে আমি মাঠটি করেছি। এই ১৮ একর জায়গার মধ্যে পার্ক করেছি, চারুকলা ইনিস্টিটিউট আছে, সামনে স্কুল আছে, পেছনে একটি বড় পুকুর আছে। এছাড়া একটি বড় লেক আছে। অথচ এক সমসয় এখানে বস্তি ছিল, মাদকের অভয়ারন্য ছিল, অসামাজিক কাযকলাপ ছিল। অনেক কষ্টে এই মাঠ করেছি। এখনো জায়গা বুঝে পাইনি। আশা করি, আমাদের রেলমন্ত্রী দেবেন।

শনিবার (২৭ মে) বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের শেখ রাসেল পার্ক ফুটবল খেলার একটি টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র আইভী বলেন, ‘আমরা রাজনীতিতে কোন হানাহানি চাই না। আমাদের নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা থাকবে, তবে সেটা সুষ্ঠু ভাবে। আমরা এমন নেতাকে নেতৃত্ব দিতে চাই, যে মানুষের কাতারে আসবে, মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। শেখ হাসিনার হয়ে কাজ করবে। মুখে বলবে শেখ হাসিনা, কাজ করবে অন্যকিছু। বলবে নৌকা, কাজ করবে আরেকটা। আমরা এমন নেতা চাই না।

আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের কথা স্মরণ করে মেয়র বলেন, ‘ আমি কখনো ভুলবোনা, যখন তিনি (আহসানউল্লাহ মাস্টার) সেই ২০০৩ সালে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়টা ছিল ভয়াবহ। ওই সময় এই শহরের অনেক রাঘববোয়ালরা নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। আজকে ডানে বায়ে যারা বসে আছে তারাই শহরে ছিল। তখন নেত্রীর নিদেশে আহসানউল্লাহ মাস্টার সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় আমরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলাম।

মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ড। ওয়ার্ড গুলোতে অনেক গুলো মাঠ আমরা করেছি, ইতোমধ্যে আমরা ১৮টি মাঠের কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি গুলো করতে পারিনি। কারণ জায়গার অভাব। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের জন্য মাঠ, পার্ক করতে হবে। সেখানে আমরা জায়গা পাইনি। তাই মাননীয় মন্ত্রী আপনার কাছে বলতে চাই। যদি স্মার্ট নগরী গড়তে হয়, যদি শিশু বান্ধব নগরী করতে হয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে সিটি করপোরেশনের ভিতরে যত জায়গা (সরকারি) আছে, সেটা যে সংস্থারই হোক না কেন, সেই সংস্থাকে আমাদেরকে শর্ত সাপেক্ষে হস্তান্তর করা উচিৎ। সেখানে আমরা মাঠ করবো, পার্ক করবো, জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা করবো।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে মাঠ গুলোতে খেলা হয় না। তারা টুনামেন্ট ছাড়েনা। খেলাধুলা হয়না বিধায় মাঠগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। আমার দুইটা মাঠ তাদের কাছে আছে। আমি আপনাকে অনুরোধ করবো, এই মাঠগুলো আমাদের দিয়ে দেওয়া হোক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সহ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102