নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বালু নদরে ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজে ধীরগতি চলছে। প্রায় তিন বছরে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও হয়েছে ৭৫ শতাংশ কাজ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার দুই শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া নৌযান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে রূপগঞ্জের উত্তরাঞ্চলের দাউদপুর, রূপগঞ্জ সদর, ভোলাব ইউনিয়নসহ আশপাশের বাসিন্দাদের ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধার কথা ভেবে ইছাপুরা এলাকায় বালু নদের ওপর বেইলি সেতু নির্মাণ হয়েছিল। একসময় উপজেলার উত্তরাঞ্চলের মানুষজন ওই সেতু পার হয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে খিলক্ষেত হয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতেন। পূর্বাচল উপশহর গড়ে ওঠার পর বালু নদের ভোলানাথপুর এলাকায় আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে ইছাপুরা সেতুর চাহিদা এখনো শেষ হয়নি।
মহাসড়কগুলোর যানজট এড়িয়ে সময় বাঁচিয়ে খুব সহজে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগে ভূমিকা রেখে আসছিল বেইলি সেতুটি। দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করে।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রূপগঞ্জের ইছাপুরা এলাকায় বালু নদের ওপর ৩২০ মিটার দৈর্ঘ্য পিএসসি গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজের কার্যাদেশ পায় প্রমিনেন্ট, কাশেম পিপি এলজে নামীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও হয়েছে ৭৫ শতাংশ।
নকশা জটিলতার কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন লাখো মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নকশা পরিবর্তনের কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ দেরি হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ অজুহাত দাঁড় করিয়ে সেতু নির্মাণের কাজ বিলম্ব করছে। আর ঢাকার সঙ্গে উপজেলার বাসিন্দাদের যোগাযোগ রক্ষা করতে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে দীর্ঘপথ ঘুরে সময় এবং আর্থিক ক্ষতিসহ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।